জ্যোতিষে রোগ নির্ণয় ও প্রতিকার:
দ্বাদশ ভাব (রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে):
দ্বাদশ ভাব থেকে মনুষ্য জীবনের যাবতীয় বিষয় সমূহের বিচার করা হয় এবং শুভ বা অশুভ গ্রহের অবস্থান হিসাবে শুভাশুভ ফল লাভ হবে। এখানে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্বাদশ ভাব এর ভূমিকা
আলোচিত হইল:
- লগ্ন ভাব - মস্তক, মস্তিষ্ক ও মন।
- ধনু ভাব - মুখমণ্ডল, চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা ও দাঁত।
- সহজ ভাব - দুই হাত, দুই বাহু, কন্ঠ, স্কন্ধ এবং শ্বাস প্রশ্বাস।
- বন্ধু ভাব - বক্ষস্থল, ফুসফুস, হূৎপিণ্ড এবং রক্তসঞ্চালন।
- পুত্র ভাব - অন্ত্র এবং উদরের উপরের ভাগ।
- রিপু ভাব - মেরুুদণ্ড, কটি, নাভি, পৃষ্ঠ, নিম্নউদর ও স্নায়ু।
- পত্নী ভাব - নারী পুরুষের জননেন্দ্রিয়, মূত্রাশয় ও শ্বাস প্রশ্বাস।
- নিধন ভাব - পুরুষাঙ্গ, বস্তি, জরায়ু, গুহ্য এবং রক্ত।
- ভাগ্য ভাব - বাম পদ ও উরুদ্বয়
- দশম ভাব - জানুদ্বয়, মাংস ও অস্থিসমূহ।
- আয় ভাব - শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হাঁটুর পর পায়ের উপরেের মধ্যাংশ।
- ব্যয় ভাব - পদদ্বয়।
উল্লেখ্য,জাতক বা জাতিকার ভাব নির্দেশিত অঙ্গ ও কালপুরুষের অঙ্গ একই হলে শুভ বা অশুভ যে ফলই হোক না কেন তা অবশ্যই ঘটবে।
ছয় নাড়ী:
ছয়টি নাড়ী হলো - জন্মনাড়ী, কর্মনাড়ী, সাংঘাতিক নাড়ী, সমুদয় নাড়ী, বিনাশ নাড়ী ও মানস নাড়ী। জন্ম নক্ষত্র হলো জন্মনাড়ী। জন্ম নক্ষত্রের দশম নক্ষত্র হবে কর্মনাড়ী, ষোড়শতম নক্ষত্র হবে সাংঘাতিক নাড়ী, অষ্টাদশ নক্ষত্র হবে সমুদয়নাড়ী, ত্রয়োবিংশ নক্ষত্র হবে বিনাশনাড়ী আর পঞ্চবিংশ নক্ষত্র হবে মানসনাড়ী।
উল্লেখিত নাড়ীবা নক্ষত্রে শুভ গ্রহের সঞ্চারে শুভ ফল আর অশুভ গ্রহের সঞ্চারে অশুভ ফল লাভ হয়।
- জন্ম নাড়ী বা নক্ষত্রে যখন পাপ গ্রহের সঞ্চার হবে তখন জাতক-জাতিকার রোগভোগ বা শারীরিক ক্লেশ ভোগ হবে।
- মানস নাড়ীতে পাপ গ্রহ সঞ্চার হলে মানসিক ক্লেশ ভোগ হবে।
- সাংঘাতিক নাড়ীতে পাপ গ্রহের সঞ্চার হলে শারীরিক ক্লেশ ভোগ হয়।
- বিনাশ নাড়ীতে পাপ গ্রহের সঞ্চার হলে দৈহিক ক্লেশ ভোগ হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন