Astrology Journeys

Horoscope reading, Prediction, Palm reading, Numerology, Gem Stone, Mantras, Reiki, Meditation & astrology article,রাশিফল, জন্ম ছক বিশ্লেষণ, রত্ন, মন্ত্র,রেইকি, ধ্যান।

Breaking

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

১১:০০ PM

Hamsa Yoga | হংস যোগ

 Hamsa Yoga|হংসযোগ


হংস যোগ হল একটি অত্যন্ত সম্মানিত এবং বিরল জ্যোতিষশাস্ত্রীয় যোগ যা বিশ্বাস করা হয় যে জাতক জাতিকার জন্য সৌভাগ্য, সাফল্য এবং আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি আনতে পারে যাদের জন্ম তালিকায় রয়েছে। "হংস" শব্দটি "হাঁস" এর জন্য উল্লেখিত এবং এটি করুণা, বিশুদ্ধতা এবং জ্ঞানের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। জন্ম তালিকায় চন্দ্র (চন্দ্র) থেকে একটি কেন্দ্রে (চতুর্ভুজ) বৃহস্পতির (গুরু) অবস্থানের মাধ্যমে হংস যোগ গঠিত হয়। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে, চাঁদকে মনের এবং বৃহস্পতিকে আধ্যাত্মিক গুরু বা গুরু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। একটি কেন্দ্রে (1ম, 4র্থ, 7ম বা 10ম ঘর) এই দুটি গ্রহের সংমিশ্রণ একটি শক্তিশালী এবং আধ্যাত্বিক যোগ তৈরি করে, যা মনুষ্য জীবনে ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসে।

অংশ যোগের লোকেদের একটি শুদ্ধ এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ মন, একটি শক্তিশালী নৈতিক চরিত্র এবং আধ্যাত্মিকতার গভীর অনুভূতি রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। তারা প্রায়শই সত্য এবং জ্ঞানের সন্ধানী এবং জীবনের অর্থ এবং উদ্দেশ্য বোঝার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে। এই যোগটি অন্তর্দৃষ্টি এবং প্রজ্ঞার একটি শক্তিশালী বোধও নিয়ে আসে, যা গুরুত্বপূর্ণ জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতক জাতিকাকে সাহায্য করতে সাহায্য করতে পারে।

হংস যোগের সাথে যুক্ত ব্যক্তি প্রায়শই তাদের কর্মজীবনে খুব সফল এবং সমাজে তাদের সুনাম রয়েছে। তাদের চমৎকার যোগাযোগ দক্ষতা রয়েছে এবং তাদের চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলি কার্যকরভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতা তাদের পেশাদার জীবনে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। এই যোগ আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং সম্পদ সঞ্চয় করার ক্ষমতা নিয়ে আসে, যা একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ জীবনযাপন দিতে পারে।

ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে, হংস যোগের লোকেরা প্রায়শই খুব যত্নশীল এবং প্রেমময় হয় এবং তাদের পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে দৃঢ় বন্ধন থাকে। তাদের মানব প্রকৃতি সম্পর্কে ভাল বোঝাপড়া রয়েছে এবং তারা প্রায়শই যাদের প্রয়োজন তাদের সান্ত্বনা এবং সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম। এই যোগ প্রেম এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সৌভাগ্য নিয়ে আসে এবং জাতক জাতিকা প্রায়শই এমন একজন গুরু খুঁজে পেতে সক্ষম হয় যারা তাদের আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি এবং যাত্রাকে সুগম করে তোলেন।

আধ্যাত্মিকতার পরিপ্রেক্ষিতে, হংস যোগ আত্ম-উপলব্ধি এবং জ্ঞানার্জনের জন্য একটি শক্তিশালী আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসে। জাতক জাতিকা প্রায়ই আধ্যাত্মিক অনুশীলনের প্রতি আকৃষ্ট হয়, যেমন ধ্যান এবং যোগব্যায়াম, এবং তাদের অন্তর্নিহিত আত্মের সাথে একটি শক্তিশালী সংযোগ থাকতে পারে। এই যোগ একটি শক্তিশালী সংযোগ আনতে পারে

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

৯:৩০ PM

Manglik yoga|মাঙ্গলিক যোগ

 Manglik Yoga |মাঙ্গলিক যোগ

মাঙ্গলিক যোগ হল হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে ব্যবহৃত একটি শব্দ যা একজন ব্যক্তির জন্ম তালিকায় উপস্থিত একটি নির্দিষ্ট গ্রহের সারিবদ্ধতাকে বোঝায়। মাঙ্গলিক শব্দটি সংস্কৃত শব্দ 'মঙ্গল' থেকে এসেছে যা মঙ্গল গ্রহকে বোঝায়। মঙ্গলকে শক্তি, আগ্রাসন, সাহস এবং আবেগের গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মাঙ্গলিক যোগ একজন ব্যক্তির জীবনে শক্তিশালী প্রভাব ফেলে, তাদের সম্পর্ক, স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে বলে মনে করা হয়।

মাঙ্গলিক যোগ ঘটে যখন মঙ্গল গ্রহটি কোনও ব্যক্তির জন্ম তালিকার 1ম, 2য়, 4র্থ, 7ম, 8ম বা 12 তম ঘরে উপস্থিত থাকে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই গ্রহের সারিবদ্ধতা একজন ব্যক্তির জীবনে, বিশেষ করে তাদের সম্পর্ক এবং বিবাহের উপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে। হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মাঙ্গলিক যোগযুক্ত ব্যক্তিকে অগ্নিগর্ভ, তীব্র এবং আবেগপ্রবণ বলা হয় এবং এই বৈশিষ্ট্যগুলি কখনও কখনও তাদের সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং ভুল বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে।

বিবাহের জন্য রাশিফল ​​মেলানোর সময় হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে মাঙ্গলিক যোগকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জ্যোতিষীদের মতে, একজন মাঙ্গলিক ব্যক্তির অস্থির বিবাহের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং তাদের পত্নী স্বাস্থ্য সমস্যা, আর্থিক অসুবিধা এবং জীবনের অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে একজন মাঙ্গলিক ব্যক্তির শেষ পর্যন্ত তাদের প্রকৃত আত্মার সঙ্গী খুঁজে পাওয়ার আগে একাধিক ব্যর্থ সম্পর্ক বা বিবাহ থাকতে পারে।

তবে মাঙ্গলিক যোগের প্রভাব সবসময় নেতিবাচক হয় না। এটি একজন ব্যক্তির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, যেমন শক্তি, সংকল্প এবং সাহস বৃদ্ধি। একজন মাঙ্গলিক ব্যক্তির একটি দৃঢ় ইচ্ছা এবং সংকল্প রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, যা তাদের বাধা অতিক্রম করতে এবং তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সফল হতে সাহায্য করে।

জন্ম তালিকায় মঙ্গল গ্রহের শক্তির উপর নির্ভর করে মাঙ্গলিক যোগের তীব্রতা পরিবর্তিত হতে পারে। একটি শক্তিশালী মঙ্গল মাঙ্গলিক যোগের আরও গুরুতর প্রভাব নির্দেশ করতে পারে, যখন একটি দুর্বল মঙ্গল একটি কম তীব্র প্রভাব হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, জন্ম তালিকায় অন্যান্য ইতিবাচক গ্রহের সারিবদ্ধতার দ্বারাও মাঙ্গলিক যোগের প্রভাব প্রশমিত হতে পারে।

মাঙ্গলিক যোগের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর অন্যতম উপায় হল মঙ্গল দোষ নিবারণ পূজা করা। এটি একটি হিন্দু আচার যা মঙ্গল গ্রহের নেতিবাচক প্রভাবকে শান্ত করার জন্য করা হয়। মঙ্গল গ্রহকে সন্তুষ্ট করতে এবং একজন ব্যক্তির জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে প্রার্থনা করা এবং নির্দিষ্ট আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদন করা এই পূজার অন্তর্ভুক্ত।

উপসংহারে, মাঙ্গলিক যোগ হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি উল্লেখযোগ্য দিক যা একজন ব্যক্তির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদিও এটি সম্পর্ক এবং বিবাহের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে বিশ্বাস করা হয়, তবে এটি একজন ব্যক্তির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, যেমন শক্তি, সংকল্প এবং সাহস বৃদ্ধি। মাঙ্গলিক যোগের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে জ্যোতিষীরা মঙ্গল দোষ নিবারণ পূজা করার পরামর্শ দেন। 
৯:০০ PM

Guru Chandal Yoga|গুরু চন্ডাল যোগ

Guru Chandal Yoga |গুরুচন্ডাল যোগ


গুরু চন্ডাল যোগ হল হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে একটি জটিল গ্রহের সারিবদ্ধতা যা একজন ব্যক্তির জন্ম তালিকায় বৃহস্পতি (গুরু) এবং রাহু (চন্ডাল) গ্রহের সংযোগকে নির্দেশ করে। গ্রহগুলির এই সংমিশ্রণটিকে হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী গ্রহের সারিবদ্ধতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা একজন ব্যক্তির আধ্যাত্মিক, মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। গুরু চন্ডাল যোগ একজন ব্যক্তির জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হয়, যা ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় প্রভাব নিয়ে আসে। একদিকে, এটি একজন ব্যক্তির জীবনে প্রচুর সম্পদ, সমৃদ্ধি এবং সাফল্য আনতে পারে, কিন্তু অন্যদিকে, এটি আধ্যাত্মিক অস্থিরতা, মানসিক অস্থিরতা এবং শারীরিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এটিকে হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে সবচেয়ে জটিল গ্রহের সারিবদ্ধকরণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং গুরু চন্ডাল যোগের প্রভাব বিভিন্ন কারণের দ্বারা নির্ধারিত হয়, যেমন জন্ম তালিকায় গ্রহের অবস্থান, তাদের শক্তি এবং অন্যান্য গ্রহের সারিবদ্ধতা। গুরু চন্ডাল যোগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল আধ্যাত্মিক অস্থিরতা যা এটি সৃষ্টি করতে পারে। এই গ্রহের সারিবদ্ধতা একজন ব্যক্তির আধ্যাত্মিক জীবনে বিভ্রান্তি এবং দিকনির্দেশের অভাব আনতে পারে, যা তাদের জীবনে তাদের আসল উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া কঠিন করে তোলে। উপরন্তু, এটি মানসিক অস্থিরতার দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং একজন ব্যক্তিকে অস্থির বোধ করতে পারে এবং তাদের চারপাশ থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে। গুরু চন্ডাল যোগের আরেকটি নেতিবাচক প্রভাব হল এটি একজন ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই গ্রহের সারিবদ্ধতা হৃদরোগ, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলির মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে বলে মনে করা হয়। এটি একজন ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেমকে প্রভাবিত করে বলেও বিশ্বাস করা হয়, যা তাকে অসুস্থতা এবং সংক্রমণের জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে। যাইহোক, গুরু চন্ডাল যোগ একজন ব্যক্তির জীবনে ইতিবাচক প্রভাব আনতে পারে, যেমন আর্থিক সমৃদ্ধি, সাফল্য এবং সম্পদ। এই গ্রহের সারিবদ্ধতার সাথে একজন ব্যক্তির একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং সম্পদ এবং সাফল্য লাভ করার ক্ষমতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। তাদের আধ্যাত্মিক বৃদ্ধির জন্য প্রবল আকাঙ্ক্ষা এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানার্জনের জন্য গভীর আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বলেও বিশ্বাস করা হয়। গুরু চন্ডাল যোগের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর অন্যতম উপায় হল গুরু চন্ডাল দোষ নিবারণ পূজা করা। এটি একটি হিন্দু আচার যা গ্রহের প্রান্তিককরণের নেতিবাচক প্রভাবগুলিকে শান্ত করার জন্য সঞ্চালিত হয়। বৃহস্পতি এবং রাহু গ্রহগুলিকে সন্তুষ্ট করতে এবং একজন ব্যক্তির জীবনে তাদের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে প্রার্থনা করা এবং নির্দিষ্ট আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদন করা এই পূজার অন্তর্ভুক্ত। উপসংহারে, গুরু চন্ডাল যোগ হল হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে একটি জটিল গ্রহের সারিবদ্ধতা যা একজন ব্যক্তির জীবনে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় প্রভাব আনতে পারে। এটি একজন ব্যক্তির আধ্যাত্মিক, মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে এবং এর প্রভাব বিভিন্ন কারণ দ্বারা নির্ধারিত হয়, যেমন জন্ম তালিকায় গ্রহের অবস্থান, তাদের শক্তি এবং অন্যান্য গ্রহের সারিবদ্ধতা। গুরু চন্ডাল যোগের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে জ্যোতিষীরা গুরু চন্ডাল দোষ নিবারণ পূজা করার পরামর্শ দেন। আপনার জন্ম তালিকায় গুরু চন্ডাল যোগের প্রভাব বোঝার মাধ্যমে, আপনি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য নিজেকে আরও ভালভাবে প্রস্তুত করতে পারেন।
১০:০০ AM

Kalsarpa Yoga|কালসর্প যোগ

 Kalsarpa Yoga|কালসর্প যোগ

কালসর্প যোগ হল বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর জ্যোতিষশাস্ত্রীয় সমন্বয় যা মানুষের জীবনে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ এবং বাধা নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। "কালসর্প" শব্দটি সংস্কৃত শব্দ "কাল" (সময়) এবং "সর্প" (সাপ) থেকে উদ্ভূত, যা পৌরাণিক সর্পকে বোঝায় যা সমস্ত গ্রহকে গ্রাস করেছিল। জ্যোতিষশাস্ত্রে, কালসর্প যোগ গঠিত হয় যখন জন্ম তালিকায় রাহু (উত্তর নোড) এবং কেতু (দক্ষিণ নোড) এর মধ্যে সমস্ত গ্রহগুলি অবস্থিত হয়।

কালসর্প যোগের লোকেরা তাদের জীবনে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ এবং বাধার সম্মুখীন হতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়, যার ফলে তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে বিলম্ব এবং বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তারা স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা খুঁজে পেতে সংগ্রাম করতে পারে, এবং তাদের জীবনে ঘন ঘন পরিবর্তন এবং অস্থিরতা অনুভব করতে পারে। এই যোগ আর্থিক অসুবিধাও আনতে পারে এবং জাতক জাতিকা সম্পদ সংগ্রহ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করতে থাকে।

সম্পর্কের ক্ষেত্রে, কলারপা  জাতক জাতিকা উপযুক্ত অংশীদার খুঁজে পেতে অসুবিধা অনুভব করতে পারে এবং স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখতে লড়াই করতে হতে পারে। তারা তাদের পারিবারিক জীবনেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে এবং তাদের প্রিয়জনদের সাথে দ্বন্দ্ব এবং ভুল বোঝাবুঝি অনুভব করতে পারে।

স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে, কালসর্প যোগের লোকেরা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা অনুভব করতে পারে এবং ভাল স্বাস্থ্য বজায় রাখতে লড়াই করতে হতে পারে। তারা তাদের আধ্যাত্মিক জীবনেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ আত্মের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং অভ্যন্তরীণ শান্তির অনুভূতি খুঁজে পেতে সংগ্রাম করতে হয়।

কালসর্প যোগ যে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ এবং বাধা নিয়ে আসে তা সত্ত্বেও, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে জ্যোতিষশাস্ত্রই একজন ব্যক্তির জীবনের একমাত্র নির্ধারক ফ্যাক্টর নয়। কালসর্প যোগের সাথে জাতক জাতিকা তাদের চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে এবং ইতিবাচক পছন্দ করে এবং একটি শক্তিশালী মানসিকতা বিকাশের মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে। একজন জ্ঞানী জ্যোতিষীর নির্দেশনা চাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ, যিনি এই যোগের নেতিবাচক প্রভাবগুলি কীভাবে প্রশমিত করবেন তার জন্য অন্তর্দৃষ্টি এবং সুপারিশ প্রদান করতে পারেন।

জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকারের পাশাপাশি, যেমন মন্ত্র পাঠ, পূজা (আচারানুষ্ঠান) এবং রত্নপাথর, কালসর্প যোগের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা তাদের জীবন উন্নত করার জন্য বাস্তব পদক্ষেপও নিতে পারেন। এর মধ্যে একটি ইতিবাচক মানসিকতার বিকাশ, স্ব-যত্ন অনুশীলন এবং ধ্যান এবং যোগের মতো আধ্যাত্মিক অনুশীলনে জড়িত থাকতে পারে যা অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং স্থিতিশীলতা আনতে সাহায্য করতে পারে।

উপসংহারে, কালসর্প যোগ হল একটি চ্যালেঞ্জিং জ্যোতিষশাস্ত্রীয় সমন্বয় যা মনুষ্য জীবনে অসংখ্য বাধা এবং অসুবিধা আনতে পারে। যাইহোক, সঠিক মানসিকতা এবং পদ্ধতির সাথে, কালসর্প যোগের সাথে যুক্ত জাতক জাতিকা তাদের চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে এবং একটি পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে। একজন জ্ঞানী জ্যোতিষীর নির্দেশনা খোঁজার মাধ্যমে, জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকারে নিযুক্ত হয়ে এবং তাদের জীবনকে উন্নত করার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে, জাতক জাতিকা এই যোগের নেতিবাচক প্রভাবগুলি প্রশমিত করতে পারে এবং তাদের জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে সাফল্য এবং সুখ অর্জন করতে পারে।

সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০

৯:৪১ PM

Rudraksha Remedy |রুদ্রাক্ষ প্রতিকার

 


Rudraksha Remedy |রুদ্রাক্ষ প্রতিকার
বিশেষ কিছু কার্যসিদ্ধির জন্য একাধিক রুদ্রাক্ষ ধারণের সুফল লাভ হয়ে থাকে।কোন কোন রুদ্রাক্ষের সাথে কোন কোন রুদ্রাক্ষ ধারণে কি ফল লাভ হয় তার কিছু আলোচনা করা হলো।

১) 5, 7 ও ১১ মুখী রুদ্রাক্ষ একসঙ্গে ধারণের ফলাফল:
বিশেষ কোনো কঠিন সমস্যা যেখান থেকে বেরিয়ে আসার কোনো পথ মিলছে না বা প্রতিটি মুহূর্তে সংঘর্ষের পথে যেতে হচ্ছে, কাজে অসফলতা আসছে বা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে, অকারনে অপমানিত হওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লিখিত তিনটি রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণ ও পূজা করলে সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ হতে পারে।

২) 7 ও 12 মুখী রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণের ফলাফল:
যে  সকল ব্যক্তি প্রশাসনিক কাজের সাথে যুক্ত বা অনেক কর্মচারী একসাথে চালানোর ক্ষেত্রে পরিচালক,তারা এই দুটি রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণ করলে প্রশাসনিক স্তরে লাভবান হবেন ও সমস্ত কর্মচারী বাধ্য থাকবে।

৩) 8 ও 14 মুখী রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণের ফলাফল:
অতিরিক্ত রোগ ভোগ বা যারা রুগ্ন প্রকৃতির, হাই ব্লাড প্রেসার,হাই সুগার অথবা অন্য কোনো জটিল রোগে ভুগছেন তারা এই দুটি রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণ ও পূজা করলে সুফল লাভ করবেন।

৪) 3 ও 6 মুখী রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণের ফলাফল:
অধ্যায়নে বিদ্যার্থীদের অমনোযোগ, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল লাভ না হওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লিখিত দুটি রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণে সুফল লাভ হয়।উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে উল্লিখিত দুটি রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণে উচ্চশিক্ষায় বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা কম থাকে।

৫) 10 ও 11 মুখী রুদ্রাক্ষ একসাথে ধরনের ফলাফল:
শিশুদের ক্ষেত্রে কুনজর বা হাওয়া লেগে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লিখিত দুটি রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণে কুপ্রভাব থেকে শিশুরা মুক্ত হতে পারে।

৬) 6 ও 13 মুখী রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণের ফলাফল:
ম্যাজিক পেশায় যুক্ত ব্যক্তি এই দুই রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণে বশীকরণ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায় এবং তাদের পেশাগত জীবনে তারা যথেষ্ট সুনাম অর্জন করতে পারেন।

৭) 3,4 ও 9 মুখী রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণের ফলাফল:
চাকরিপ্রার্থী বা যারা ব্যবসা শুরু করবেন তারা এই তিনটি রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণ করলে সাফল্য লাভ হবে।

৮) 10 ও গৌরী শংকর রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণের ফলাফল:
বিবাহিত জীবনে বিভিন্ন সমস্যা,পরিবারের সদস্যদের সাথে অথবা স্বামী-স্ত্রী উভয়ের সম্পর্কের অবনতিতে এই দুটি রুদ্রাক্ষ ধারণ ও পুজা করলে সম্পর্কের তিক্ততা সৃষ্টি হয় না এবং দাম্পত্য জীবন সুখময় হয়।

৯) 6 ও 7 মুখী রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণের ফলাফল:
উল্লেখত দুটি রুদ্রাক্ষ একসাথে ধারণ করলে জীবনের সমৃদ্ধি লাভ ঘটে ও কাজে বাধা বিঘ্ন দূর হয়। গুপ্ত শত্রু প্রশমিত হয় ও জীবনে সাফল্য আসে।



সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০২০

৮:০৩ PM

RUDRAKSH, রুদ্রাক্ষ


রুদ্রাক্ষ সৃষ্টির নেপথ্য কাহিনী

ভগবান নারায়ণকে মহর্ষি নারদ একবার নিবেদন করলেন যে, হে ভগবান! আপনি যে রুদ্রাক্ষের মহিমার এত বর্ণনা দিলেন,এখন আমায় অনুগ্রহ করে সেই রুদ্রাক্ষের সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে বলুন এবং রুদ্রাক্ষ এত লোক পুজ্য হল কেন তাও আমি জানতে বড়ই আগ্রহী।

রিসি নারীদের এই কথা শুনে নারায়ন বললেন, বৎস! তুমি আমাকে আজ যে প্রশ্ন করলে, একবার কৈলাসবাসিন ভগবান রুদ্রদেবকে ঠিক এরূপ প্রশ্নই করেছিলেন। ভগবান রুদ্রদেব কার্তিককে যেরূপ বলেছিলেন আমিও তোমাকে ঠিক সেরূপই বলছি, তুমি শুনতে থাকো।

পুরাকালে ত্রিপুরা নামে সর্বদুর্জয় এক দৈত্য জন্মেছিল। ব্রহ্মা,বিষ্ণু প্রভৃতি দেবগন তার নিকট পরাজিত হয়ে রুদ্র দেবের নিকটে আসে দৈত্যকে বধ করবার প্রার্থনা নিয়ে। ভগবান রুদ্র এই প্রার্থনা শুনে ত্রিপুরা অসুরকে বধ করার অভিপ্রায়ে অঘোর নামে এক ভীষণ সর্ববিদ্যা ময় দিব্য অস্ত্রের স্মরণ করলেন। ভগবান রুদ্র সেই অঘোর অস্ত্রের চিন্তা করে সহস্ত্র বছর উন্মীলিত নয়নে অবস্থান করেছিলেন; ক্ষণকালের জন্যও চক্ষুর নিমেষ ত্যাগ করেননি। এই কার্যকারণে তার চক্ষু আহত হওয়ায়, চক্ষু থেকে জলবিন্দু পতিত হয়। সেই অশ্রুবিন্দু থেকেই সর্বলোকের হিতকামনায় মহারুদ্রাক্ষ বৃক্ষের জন্ম হয়। এই রুদ্রাক্ষ 38 প্রকারের। তারমধ্যে ভগবানের সূর্যরূপ নেত্র থেকে দ্বাদশ প্রকার পিঙ্গলবর্ণের, চন্দ্ররূপ নেত্র থেকে ষোড়শ প্রকার শ্বেতবর্ণ এবং অগ্নিরূপ নেত্র থেকে দশ প্রকার কৃষ্ণবর্ণ রুদ্রাক্ষের সৃষ্টি হয়। ইহাদের ভিতর শ্বেতবর্ণ রুদ্রাক্ষ ব্রাহ্মণদিগের জন্য, রক্তবর্ণ রুদ্রাক্ষ ক্ষত্রিয়দের জন্য মিশ্রবর্ণ রুদ্রাক্ষ বৈশ্যদের জন্য ও কৃষ্ণবর্ণ রুদ্রাক্ষ শূদ্রদের জন্য ধারণীয়। তবে বৈশ্যগণও কৃষ্ণবর্ণ রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারে।

রুদ্রাক্ষ ধারণের ফলাফল :

একমুখী রুদ্রাক্ষ :

একমুখী রুদ্রাক্ষকে সাক্ষাৎ শিব স্বরূপ বলে মানা হয়। এই রুদ্রাক্ষ শুধুমাত্র দর্শনেই মানুষের অনেক কল্যাণ হয়। যে ঘরে এই রুদ্রাক্ষের পূজা করা হয়ে থাকে, সেই ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। যিনি এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন তিনি সর্বদা যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন। কোন বিপদ তাকে স্পর্শ করতে পারে না। কোন ধরনের ভয় তাকে কাবু করতে পারে না। তার মনোস্কামনা অবশ্যই পূর্ণ হয়। দেবীভাগবতে উল্লেখ আছে যে এই রুদ্রাক্ষ সর্ব সুখ দান করে।
একমুখী রুদ্রাক্ষ হাড়, হৃদরোগ, ধমনীর রোগ, রক্ত সঞ্চালন, রক্ত বিকার, গ্রন্থি বিকার ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এই রুদ্রাক্ষ যদি কোন ব্যবসায়ী ধারণ করেন অথবা কোনো গৃহস্থ যদি তার সম্পদ রাখার স্থানে একে রেখে দেন তবে তার সম্পদ দিন দিন বৃদ্ধি পায়। রবি গ্রহের বিরূপতায় এই রুদ্রাক্ষ অভূতপূর্ব লাভ দেয়। আত্ম বল বৃদ্ধির জন্য এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা অতি উত্তম।

দুই মুখী রুদ্রাক্ষ :

দুই মুখী রুদ্রাক্ষকে ভগবান শিব ও মা পার্বতীর রূপ বলে মানা হয়ে থাকে। একে অর্ধনারীশ্বর রুদ্রাক্ষও বলা হয়ে থাকে। রুদ্রাক্ষের ধারণ কর্তার ত্রিবিধ পাপের নাশ হয়। ধারকের প্রচুর ঐশ্বর্য প্রাপ্তি ঘটে।যাদের বিবাহিত জীবনে সন্তান লাভের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয় তাদের এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। এটি ধারণে ধারণ কর্তার বিকাশ ঘটে। দুই মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে স্মৃতিশক্তি ও মানসিক বল প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায় এবং গৃহের অশান্তি দূরীভূত হয়। ধারণ কর্তার মনস্কামনা পূর্ণ হয় এবং সমস্ত কাজেই সফলতা লাভ হয়। পেটের যে কোনো রোগে, মহিলাদের কোন রোগে বিশেষত বক্ষস্থলের কোন রোগে বিশেষ কাজ দেয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি, সন্তান লাভ, পিতা-পুত্র সম্পর্কের উন্নতি, মানসিক দুর্বলতা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদিতে এই রুদ্রাক্ষ ধারণের লাভ হয়। যাদের জন্ম ছকে চন্দ্র পীড়িত চন্দ্রের মহাদশা চলছে তারা এই রুদ্রাক্ষ ধারণেরষ শুভ ফল লাভ করবেন। যে সমস্ত মহিলাদের গৃহে অশান্তি আছে তারা দুই মুখী রুদ্রাক্ষের অবশ্যই করবেন।

তিন মুখী রুদ্রাক্ষ :

শাস্ত্র অনুযায়ী এই রুদ্রাক্ষ ধারণের অগ্নি স্বরূপ ফল লাভ হয়। এই রুদ্রাক্ষের সত্ত্বগুণ, তমোগুণ, রজোগুণ এই তিনটি গুণই বিদ্যমান। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এই তিন দেবতার আশীর্বাদ এই রুদ্রাক্ষতে আছে। বিদ্যার্থীদের জন্য এই রুদ্রাক্ষ খুবই উপকারী।যারা সামরিক বিভাগে বা পুলিশ বিভাগে চাকুরী করেন তাদের এই রুদ্রাক্ষ অতি প্রয়োজনীয়। যাদের মঙ্গল গ্রহ বিরূপ আছে বা মঙ্গলের মহাদশা চলছে তারা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে। তিন মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যে মহিলার বারবার গর্ভপাত হয় তাকে ধারণ করানো উচিত এবং প্রত্যহ এই রুদ্রাক্ষের পূজা করা উচিত।এই রুদ্রাক্ষ ধারণের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, পেটের বিকার থেকে মুক্তি ঘটে, লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে ও রক্তচাপ বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে।

চার মুখী রুদ্রাক্ষ :

এই রুদ্রাক্ষকে চতুর্মুখ ব্রম্ভার স্বরূপ এবং চার বেদের শক্তি এবং রূপ নিহিত আছে বলে মানা হয়ে থাকে। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে ধর্ম, অর্থ, কাম, মোহ এই চারটিই লাভ হয়ে থাকে। এটি ধারণের ফলে বুদ্ধির বৃদ্ধি এবং মানসিক বল বৃদ্ধি হয়ে থাকে। যে শিশু কথা বলতে অক্ষম অথবা যে শিশুর বুদ্ধি অত্যন্ত কম তাকে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করালে অবশ্যই ভালো ফল লাভ করা যায়। বিদ্যার্থীরা এটি ধারন করলে পড়াশোনায় মনোযোগী হয়।
হাত বা কব্জির দুর্বলতা, মস্তিষ্কের কোন স্নায়বিক দুর্বলতা, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে এই রুদ্রাক্ষ বিশেষ লাভ প্রদান করে। বুদ্ধিজীবীবর্গ, বৈজ্ঞানিক, গণিত অথবা বাণিজ্য নিয়ে যিনি অধ্যয়ন করছেন এরূপ বিদ্যার্থী, লেখক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, অনুসন্ধানকারী ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের জন্য এই রুদ্রাক্ষ অতি লাভদায়ক।বুধ গ্রহের কোন দূর্বলতা থাকলে অথবা বুধ গ্রহের মহাশয় এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা যেতে পারে। যে ছাত্র কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দেবে সে এই রুদ্রাক্ষ ধারণের খুবই সুফল লাভ করবে।

পাঁচ মুখী রুদ্রাক্ষ :

পাঁচ মুখী রুদ্রাক্ষকে সাক্ষাৎ রুদ্র অর্থাৎ ভগবান শিবের সঙ্গে তুলনা করা হয়। একই কালাগ্নিও বলা হয়। এই রুদ্রাক্ষ প্রচুর প্রভাবশালী এবং ধরনের মানসিক স্থিরতা প্রাপ্তি হয়। জ্ঞান বৃদ্ধির সহায়ক ও মানসিক অশান্তি দূর হয়।
পাঁচ মুখী রুদ্রাক্ষ স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ুর জন্যও বিশেষ উপকারী। এই রুদ্রাক্ষ আধ্যাত্বিক সুখও বৃদ্ধি করে। এর মালা ধারন করলে  অত্যন্ত শুভ ফল লাভ করা যায়।যিনি এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করেন তার মন এত পবিত্র থাকে যে তার মনে পাপ কাজ স্থান পায় না। এতে গ্রহদোষ কাটবে এবং গ্রহ সহায় হবে। নারী বা পুরুষের বিবাহের সমস্যায় নারী এই রুদ্রাক্ষের নিয়মিত পূজা করবেন এবং পুরুষ এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করবেন, তাহলে এই দোষ থেকে মুক্ত হবেন।
রক্তচাপ, যকৃতের সমস্যা, হেপাটাইটিস বি, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড, পিটুইটারি গ্ল্যান্ড ইত্যাদি রোগে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে সুফল লাভ হয়। অকাল মৃত্যু যোগে এই রুদ্রাক্ষ ধারণে বিশেষ ফল লাভ করা যায়।পূজা-অর্চনা সময় অথবা কোন মন্ত্র জপের জন্য পাঁচ মুখী রুদ্রাক্ষ অতি উত্তম বলে মানা হয়।

ছয় মুখী রুদ্রাক্ষ :

ছয় মুখী রুদ্রাক্ষ ধারণে বিদ্যা, বুদ্ধি ও জ্ঞান বৃদ্ধির সহায়ক হয় ও মেধাশক্তির বৃদ্ধি ঘটায়। বিদ্যার্থীদের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায় অধ্যায়নে আগ্রহ জন্মায়। বিশেষ কোন কর্মপরিকল্পনায় এই রুদ্রাক্ষ সফলতা এনে দিতে সাহায্য করে। কাম, ক্রোধ, লোভ, মুহু থেকে মুক্তি লাভ করে আত্মশক্তি শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং জ্ঞান শক্তির স্থিরতা আনতে সাহায্য করে।
এই রুদ্রাক্ষ ধারণে চর্মরোগ, চোখের রোগ, যৌন সমস্যা, দুর্বলতা, কিডনির রোগ, গলার রোগ, হৃদরোগ প্রশমিত হয়।
শিক্ষকতা, পত্রিকার সম্পাদক, পত্রকার,ব্যবসায়ী কিংবা নাটক বা ফিল্ম লাইনের সাথে যুক্ত আছেন এমন ব্যক্তি এই রুদ্রাক্ষ ধারণে বিশেষ ফল লাভ করে থাকেন। যৌন রোগ অথবা স্নায়ু দৌর্বল্য বা যৌন অক্ষমতা থাকলে কিংবা শুক্র গ্রহের কারণে সমস্যা দেখা দিলে এই রুদ্রাক্ষ ধারণের শুভ ফল লাভ সম্ভব হয়।

সাতমুখী রুদ্রাক্ষ :

সাতমুখী রুদ্রাক্ষকে মহা লক্ষ্মীর সহিত তুলনা করা হয়। একে কামদেবের রূপ বলেও স্বীকার করা হয়ে থাকে। যারা অধিক সম্পদ লাভ বা ভাল চাকুরী লাভে আগ্রহী তাদের এই রুদ্রাক্ষ ধারণে শুভ ফল লাভ হয়ে থাকে। শরীরের রোগ মুক্তি, মনের শান্তি, সামাজিক সম্মান, স্ত্রী সুখ, অর্থ প্রাপ্তি ইত্যাদি লাভ হয়। শারীরিক ও মানসিক কষ্ট থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।
শনি গ্রহের কারণে দুঃখ কষ্ট বা শনি গ্রহের মহাদশা চললে এই রুদ্রাক্ষ ধারণে শনি গ্রহের বিরূপতা প্রশমিত হয়। শনির সাড়েসাতি চলাকালীন এই রুদ্রাক্ষ ধারণে শুভ ফল লাভ করা সম্ভবপর হয়। কোমরের নিচের অংশে প্রচুর ব্যথা, বহু পুরাতন কোন ব্যাধি, হাড়ের ব্যথায় কষ্ট ইত্যাদিতে এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সুফল লাভ হয়।

আটমুখী রুদ্রাক্ষ:

এই রুদ্রাক্ষের অধিষ্ঠাতা দেবতা শ্রীগণেশ। অন্য মত কালভৈরব কে এর প্রতিষ্ঠাতা দেবতা বলে মানা হয়। শাস্ত্র মতে এই রুদ্রাক্ষ ধারণকারী কে অষ্টদেবী এবং অষ্টবিনায়ক সর্বদা রক্ষা করেন। ধারণকারীর আট প্রকার প্রকৃতি(আকাশ, পৃথিবী, অগ্নি, বায়ু, জল, মন, বুদ্ধি এবং কৃপা) সহায় হন। নিদ্রা রোগ থাকলে তা সম্পূর্ণভাবে দূরীভূত হয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের ফলে ব্যক্তির সাহস, মনোবল, সম্মান বৃদ্ধি পায়। দুর্ঘটনা, শত্রু ষড়যন্ত্র, প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। মৃগী রোগ অথবা চক্ষু রোগে সুফল লাভ হয়।রাহু গ্রহের সমস্যায় এই রুদ্রাক্ষ ধারনে গ্রহ দোষ থেকে মুক্তি লাভ হয় এবং কালসর্প যোগ বা ভারী দুর্ঘটনা যোগ প্রশমিত হয়।

নয়মুখী রুদ্রাক্ষ:

দেবীভাগবত মতে এই রুদ্রাক্ষে স্বয়ং মা দুর্গার আশীর্বাদ আছে ও নবদুর্গার পূর্ণ শক্তি এই রুদ্রাক্ষের সমাহিত আছে।এই রুদ্রাক্ষ ধারণে শক্তি লাভ হয় এবং ধারণ কর্তা তীর্থভ্রমণের পূর্ণ ফল সঞ্চয় করেন। আর্থিক স্থিতিশীলতা, সাহস, বীরত্ব, কর্মনিপুণতা ও সহনশীলতার মধ্যে অদ্ভুত সামঞ্জস্য প্রদান করে থাকে। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ জীবনকে সুখময় করে তোলে। দেবী দুর্গার উপাসক যারা তাদের এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সুফল লাভ হয়। চর্মরোগ, শরীরের ব্যথা বেদনা থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।জন্ম ছকে কেতু গ্রহের কারণে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে বা কেতু গ্রহের মহাদশা চললে এই রুদ্রাক্ষ ধারণের সুফল লাভ হয়।


দশমুখী রুদ্রাক্ষ:
শ্রীহরি বিষ্ণু এই রুদ্রাক্ষের দেবতা। এই রুদ্রাক্ষে শ্রীহরির দশ অবতারের পূর্ণ কৃপা বর্ষিত হয় এবং মা লক্ষ্মী পূর্ণ কৃপা প্রদান করেন। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সর্ব গ্রহ বাধা দূর হয়ে গ্রহরা শান্ত থাকেন। গ্রহের কারণে কাজে বাধাপ্রাপ্ত হলে বা ভাগ্য কিছুতেই প্রসন্ন না হলে এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সুফল লাভ হয়ে থাকে। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে নবগ্রহের কৃপা লাভ হয়।রাজনীতি বা সামাজিক কাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সফলতা আসে।সৃজনাত্মক কাজ, চারুকলা বা কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত বুদ্ধি প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই রুদ্রাক্ষ ধারণের প্রভূত সুফল লাভ হয়। বিবাহিত জীবনের সমস্যা,রক্ত সমস্যা বা ডায়াবেটিস রোগে এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সুফল লাভ হয়।বৃহস্পতি গ্রহের সমস্যায় বা বৃহস্পতি গ্রহের মহা দশায় এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে বৃহস্পতি গ্রহের কৃপা লাভ হয়।

এগারোমুখী রুদ্রাক্ষ:
হনুমান হলেন রুদ্রাক্ষের অধিপতি দেবতা। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে মনের ভিতরে ভয় স্থান পায় না। জীবনে প্রচুর সংগ্রামের ক্ষেত্রে এবং বিফলতা রোধে, মানসিক কোনও সমস্যায় বা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম হলে সেই ক্ষেত্রে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ সুফল দান করে। স্নায়ুর সমস্যা, মানসিক অবসাদ ইত্যাদিতে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে শুভ ফল লাভ হয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের ঐশ্বর্য্য প্রাপ্ত হয়, কাজের সফলতা আসে, শরীরকে নীরোগ করে, শারীরিক বৃদ্ধি পায়, মনের স্থিরতা অনে, সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে, ব্যবসায় উন্নতি আনে, সন্তানের ভাগ্য প্রসন্ন হয়, সুখ প্রাপ্তি হয় এবং স্বভাব চরিত্রের উন্নতি হয়।
যে সকল ব্যক্তি আধ্যাত্মিক জগতের সঙ্গে যুক্ত, ধ্যান, সাধনা ইত্যাদিতে নিমগ্ন থাকেন তাদের এই রুদ্রাক্ষ ধারণে  কার্যে পূর্ণ সফলতা লাভ হয়। শারীরিকভাবে রুগ্ন বা মৃগী রোগে ভুগছে এমন শিশু তাকে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করানো উচিত। হাত পায়ে ব্যথা, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি, বিদেশযাত্রায় বাধা ইত্যাদি ক্ষেত্রে 11 মুখী রুদ্রাক্ষ সুফল দান করে। দুর্ঘটনা যোগ থাকলে এই রুদ্রাক্ষ ধারণের সেই যোগ প্রশমিত হয়। বুধ গ্রহের কারণে সমস্যা এই রুদ্রাক্ষ ধারণে প্রশমিত হয়। যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় অমনোযোগী অথবা লেখাপড়া ঠিকমত মনে রাখতে পারে না তারা যদি এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করে তবে সুফল লাভ করতে পারবে।

বারোমুখী রুদ্রাক্ষ:
এই রুদ্রাক্ষের অধিপতি দেবতা হলেন সূর্যদেব। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের মনের ভয়-ভীতি দূরীভূত হয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণের ধারণকারী দয়াশীল, দাতা, গুনবান এবং চারিত্রিকভাবে প্রচন্ড তেজস্বী হয়। শিক্ষকতা অথবা যারা নেতৃত্ব দেন এই রুদ্রাক্ষ ধারণে লোক তাদের বশীভূত হয়। চক্ষুরোগ কমে, শারীরিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, মানসিক এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ও যশ হয়। যেকোনো কাজে নিষ্ঠা লাভ করা যায়। কর্মক্ষেত্রে ও ব্যবসায় যশলাভ হয়। রবি গ্রহের কারণে সৃষ্ট সমস্যা বা রবি গ্রহের মহাদশায় এই রুদ্রাক্ষ ধারণে সুফল লাভ হয়।

তেরোমুখী রুদ্রাক্ষ:
এই রুদ্রাক্ষের অধিপতি হলেন ভগবান কার্তিক। মতান্তরে এই রুদ্রাক্ষের অধিপতি হলেন দেবরাজ ইন্দ্র। এটিকে কামদেবের রূপ বলেও মানা হয়। সমস্ত প্রকার সিদ্ধিলাভ, সাংসারিক মনস্কামনা পূর্ণ, মন-যশ-প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বৃদ্ধি করা এবং উচ্চ পদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এই রুদ্রাক্ষ বশীকরণের ন্যায় শক্তি প্রদান করে থাকে। যারা জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে চর্চা করেন তাদের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। এই রুদ্রাক্ষ ধারণ কর্তা কখনো প্রতারকের দ্বারা প্রতারিত হন না। পুরনো দাম্পত্য সুখ, সন্তান প্রাপ্তি, বাক শক্তি বৃদ্ধি, সাংসারিক সুখ প্রাপ্তি হয়ে থাকে এই রুদ্রাক্ষ ধারণের দ্বারা।এই রুদ্রাক্ষ ধারকেরা কোন অচেনা ব্যক্তিকে অতি সহজেই তার প্রতি আকর্ষিত করতে পার। পেটের রোগ, অজীর্ণ, আমাশা, অতিরিক্ত বায়ু বৃদ্ধি হওয়া ইত্যাদি রোগে এই রুদ্রাক্ষ সুফল দান করে। মাথার যন্ত্রণা রোগে এবং যৌন রোগে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ ফলপ্রদ। সন্তান লাভ করতে এই রুদ্রাক্ষ সাহায্য করে। সরকারী চাকুরীজীবিদের পদোন্নতির জন্য রুদ্রাক্ষ ধারণ করা ভালো।শুক্র গ্রহের কারণে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে অথবা শুক্র গ্রহের মহা দশায় এই রুদ্রাক্ষ ধারণ সুফল দান করে।

চৌদ্দমুখী রুদ্রাক্ষ:
এক মুখি রুদ্রাক্ষের মত এই রুদ্রাক্ষ অতি দুর্লভ বস্তু। এই রুদ্রাক্ষের অধিপতি দেবতা স্বয়ং মহাদেব। এটি ধারনে ভগবান শিবের কৃপা লাভ করা যায়। জন্ম ছকে রোগ, হানি, দুর্ঘটনা অথবা ঋণজালে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনায় এই 14 মুখি রুদ্রাক্ষ ধারনে সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারা যায়। অতিরিক্ত চিন্তা, শত্রু দমন, সাংসারিক সুখ, সমৃদ্ধি, আর্থিক লাভ ইত্যাদির কারণে এই রুদ্রাক্ষ ধারণে শুভ ফল লাভ হয়। এই রুদ্রাক্ষ ধারণে 6 টি ইন্দ্রিয় অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে ওঠার ফলে ধারণ কর্তা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্ট উপলব্ধি করতে পারে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। জ্যোতিষী, ব্যবসায়ী, ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতা এই রুদ্রাক্ষ ধারণের অধিকতর সুফল লাভ করতে পারেন।জন্ম ছকে স্বল্পায়ু যোগ বা পুরাতন কোন জটিল রোগে এই রুদ্রাক্ষ ধারণের সুফল লাভ হয়। মঙ্গল গ্রহের দ্বারা সৃষ্ট সমস্যা বা মঙ্গল গ্রহের মহাশয় এই রুদ্রাক্ষ ধারণের এই গ্রহের কৃপালাভ হয়।

গৌরীশংকর রুদ্রাক্ষ:
যেসকল রুদ্রাক্ষ সৃষ্টিকাল থেকেই দুটি একসাথে জোড়া লাগা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে তাকে গৌরীশংকর রুদ্রাক্ষ বলা হয়। এই রুদ্রাক্ষকে স্বয়ং শিব এবং পার্বতীর রূপ হিসেবে মানা হয়। এটি অতি দুর্লভ বস্তু।লক্ষ লক্ষ রুদ্রাক্ষের ভিতরে মাত্র কয়েকটি এই ধরনের রুদ্রাক্ষ দেখতে পাওয়া যায়। এই রুদ্রাক্ষে প্রচুর দিব্য শক্তি এবং ঐশ্বরিক ক্ষমতা নিহিত থাকে।এই রুদ্রাক্ষে একমুখী থেকে 14 মুখি রুদ্রাক্ষের সমস্ত শুভ ক্ষমতাই অন্তর্নিহিত আছে। দাম্পত্য সুখের অভাব, স্বামী-স্ত্রীর মতপার্থক্য, দাম্পত্য জীবনে অশান্তি, শ্বশুর শাশুড়ির সাথে কলহ ইত্যাদি সমস্যায় স্বামী বা স্ত্রী অথবা উভয়েই এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। প্রেম ঘটিত ব্যাপারে সমস্যা সৃষ্টি বা বিবাহের ব্যাপারে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে প্রেমিক বা প্রেমিকা কিংবা উভয়ই এই রুদ্রাক্ষ ধারনে সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়ার আশা থাকে। একমুখি রুদ্রাক্ষের মত এই রুদ্রাক্ষও যে কোন পুরুষ বা নারী ধারণ করতে পারেন। এর ফলে জীবনে কোন কষ্ট, আর্থিক হানি, সম্পদ নষ্ট ইত্যাদি রোধ হয় ও সিদ্ধান্তে অটল থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।মহিলারা পূর্ণ ভক্তি সহকারে এই রুদ্রাক্ষের পূজা-পাঠ করলে সংসারে লক্ষ্মী অচলা থাকেন এবং সংসার সুখের হয়ে ধন-সম্পদে ভরে ওঠে।এই রুদ্রাক্ষ বাড়িতে পূজাস্থলে রেখে দৈনন্দিনের পূজা করলে সুফল দান করে থাকে। জন্ম ছকে বৃহস্পতি গ্রহের কোন সমস্যা বা বৃহস্পতি গ্রহ পীড়িত অথবা বৃহস্পতির মহাদশায় এই রুদ্রাক্ষ ধারণে প্রচুর সুফল লাভ হয়।

গণেশ রুদ্রাক্ষ:
এই রুদ্রাক্ষের গায়ে জন্মকাল থেকেই শ্রীগনেশ দেবতার শু৺ড়ের মত শু৺ড় দেখতে পাওয়া যায়। এই রুদ্রাক্ষ অতি দুর্লভ বস্তু। এই রুদ্রাক্ষ ধারনে জীবনে সমস্ত রকমের সুখ-সম্পদ প্রাপ্ত হয়ে থাকে। রুদ্রাক্ষ ধারনে ব্যবসার উন্নতি হয়। অর্থ ও সম্পদ হানি হবার হাত থেকে এই রুদ্রাক্ষ রক্ষা করে। জীবনে উন্নতির সুযোগ দান করে। এই রুদ্রাক্ষ ধারনে সমস্ত কার্যে সিদ্ধি লাভ হবার সম্ভাবনা থাকে।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

৮:০৪ PM

What are the effects of Shani sade sati? Saturn Sade Sati Remedies

শনির সাড়ে সাতি

What are the effects of Shani sade sati? Saturn Sade Sati Remedies

শনির সাড়ে সাতি কি?

শনি পূর্ণ রাশিচক্র পরিভ্রমণ করার সময় প্রত্যেক রাশিতে একবার স্থিত হন। পূর্ণ রাশিচক্রকে প্রদক্ষিণ করতে শনিদেবের সময় লেগে যায় 30 বছর। সুতরাং সেই হিসাব অনুসারে বারোটি রাশির প্রত্যেক রাশিতে তিনি দুই বছর 6 মাস কাল স্থিত হন। এই পরিভ্রমণ কালে যে রাশিতে তিনি আড়াই বছরের জন্য স্থিত হন সেই রাশির দ্বিতীয় এবং 12 তম ঘরকেও শনি দ্বারা প্রভাবিত বলে ধরা হয়। যেমন 2012 সালের 4ঠা এপ্রিল শনিদেবের অবস্থান ছিল তুলা রাশিতে। অতএব 2য় ঘর বৃশ্চিক এবং দ্বাদশ ঘর অন্য এই দুই রাশিও শনি দ্বারা প্রভাবিত হবে বলে ধরতে হবে। সুতরাং রাশি হিসাবে কন্যা, তুলা এবং বৃশ্চিক এই তিন রাশিই শনির দ্বারা প্রভাবিত হবে। আর এই তিন রাশির যোগফল হল আড়াই বছর গুণিতক 3 রাশি অর্থাৎ সাড়ে সাত বছর। আর তাই একে বলা হয় সাড়ে সাতি।

শনির সাড়ে সাতিকে ভয় না করে জয় করুন :

মানুষ শনির নাম শুনলেই কেঁপে ওঠে, তার ওপর সাড়ে সাতি হলে তো কথাই নেই। বর্তমানকালে জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই সাড়েসাতি নিয়ে একটু বেশিই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে এবং মনে হয় এই নিয়ে মানুষের মনে একটা অমূলক ভীতিও বাসা বেধেছে। কারণ নিয়মানুসারে প্রত্যেক জাতক জাতিকার ক্ষেত্রেই একবার না একবার শনির দশা ভোগ হয়ে থাকে যদি সেই জাতকের অকাল মৃত্যু না হয়। পূর্ণ জীবনে একবার অন্তত শনির দশা অবশ্যই ভোগ করতে হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে প্রত্যেক মানুষের জন্ম ছকে শনির অবস্থান অনুযায়ী যদি তিনি জাতককে ভালো অথবা মন্দ দু'রকমের ফলই দান করেন, তাহলে সাড়ে সাতির ক্ষেত্রে যে তিনটি রাশিকে যুক্ত করে সাড়ে সাতি ঘটে তিনটি রাশির জাতকে শুধুই শনির মন্দ প্রভাবে পড়তে হবে এ কেমন কথা। 

বর্তমানে  শনির সাড়ে  সাতি নিয়ে যেভাবে হৈচৈ করা হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে শনিদেব যেন আলাদা একটা দপ্তর খুলেছেন যে দপ্তরে ভিন্নভাবে ভিন্ন অবস্থায় ভুতে পাওয়া মানুষের মত সাড়ে সাতিতে পড়া মানুষগুলোর ভিন্ন বিচার হবে। যেখানে তার মূল জন্মছকে শনিদেব কোথায় অবস্থান করছেন, সেই অবস্থানের ফলে অন্যান্য গ্রহদের সাথে তার পারস্পরিক সম্পর্ক কি হবে এবং সাড়ে সাতি শুরু হলে সেই রাশির জাতকের পক্ষে ভালো হবে না মন্দ হবে এসব কিছুর বিচার করার প্রয়োজন নেই। বিচার্য কথা হল একটাই, আর সেটা হলো - 'আপনার এখন সাড়ে সাতি চলছে অতএব আপনার এখন দুঃসময়', সুতরাং পারলে একটা রত্ন ধারণ করুন। এভাবে কি জ্যোতিষ বিচার আদৌ সঠিকভাবে হয়? তাই আমার মনে হয় সাড়েসাতি নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।

প্রতিটি মানুষকে তার জীবনের কোনো না কোনো সময়ে শনির প্রভাব ভোগ করতেই হয়। যে জাতক বা জাতিকার ক্ষেত্রে শনি অশুভ তাকে শনির অশুভ ফল ভোগ করতে হবেই। কিন্তু যথার্থভাবে বিচার করলে দেখা যায় যে শুধু শনি নয় নক্ষত্রের কারনেও এই শুভ বা অশুভ ফল ভোগ করতে হয়। কারণ শনি তার পরিক্রমাকালীন অবস্থায় কোন নক্ষত্রে রয়েছেন এবং সেই নক্ষত্রের যিনি অধিপতি তার উপরেও এই ফলাফলের দায় অনেকটাই বর্তায়। কাজেই একা শনি যত নষ্টের মূল একথা একটা ভ্রান্ত ধারণা এবং অমূলক প্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রত্যেক বিরূপ গ্রহের অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করার জন্য প্রতিকার অবশ্যই আছে। কিন্তু সর্বপ্রথম যে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া একান্ত প্রয়োজন তা হলো গ্রহটি অন্যান্য কোন কোন গ্রহের সাথে যুক্ত এবং তার ফলাফল কি?অর্থাৎ অতি সূক্ষ্ম বিচার দ্বারা তা নির্ণয় করে তবেই প্রতিকার করলে সেই প্রতিকারে অশুভ প্রভাবকে যে প্রশমিত করা যেতে পারে তা বলাই বাহুল্য। গ্রহযোগ অর্থাৎ একই রাশিতে দুই বা ততোধিক গ্রহের অবস্থান জন্মছক বিচারের ক্ষেত্রে একটা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এরপর আছে গ্রহদের দৃষ্টি বিনিময়, ক্ষেত্র বিনিময়, কেন্দ্রে-ত্রিকোণে গ্রহদের অবস্থান এবং মহাদশা অন্তর্দশা ইত্যাদিও মুখ্য বিচার্য বিষয়। তাই কোন গ্রহের শুভ বা অশুভ প্রভাব বিচারের ক্ষেত্রে শুধুই নির্দিষ্ট গ্রহটিকে ধরে বিচার করা সম্ভব নয়, সম্পূর্ণ জন্ম ছকের গ্রহদের একই সাথে বিচার করতে হবে।
What are the effects of Shani sade sati? Saturn Sade Sati Remedies

কোন রাশির ওপর শনি এলে কোন কোন জন্ম রাশির জাতক জাতিকা শনির সাড়ে সাতিতে পড়বেন-

  1. শনি যখন গোচরে মীন, মেষ ও বৃষ রাশিতে অবস্থান করে তখন মেষ রাশির জাতক-জাতিকার উপর সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে।
  2. গোচরে শনি যখন মেষ , গ্রীষ্ম এবং মিথুন রাশিতে অবস্থান করেন তখন বৃষ রাশির জাতক-জাতিকারা সাড়েসাতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকেন।
  3. শনি যখন গোচরে বৃষ, মিথুন ও কর্কট রাশিতে অবস্থান করে তখন মিথুন রাশির জাতক-জাতিকার উপরে সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে।
  4. গোচরে শনি যখন মিথুন, কর্কট এবং সিংহ রাশিতে তখন কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাড়ে সাতির প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকেন।
  5. শনি যখন গোচরে কর্কট, সিংহ ও কন্যা রাশিতে অবস্থান করে তখন সিংহ রাশির জাতক-জাতিকার উপর সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে।
  6. সিংহ, কন্যা এবং তুলা রাশির উপরে শনির গোচর হলে কন্যা রাশির জাতক জাতিকার সাড়েসাতি ধরা হয়।
  7. কন্যা, তুলা ও বৃশ্চিক রাশিতে শনির গোচর হলে তুলা রাশির সাড়ে সাতি হয়।
  8. শনি যখন গোচরে তুলা, বৃশ্চিক এবং ধনু রাশিতে অবস্থান করে তখন বৃশ্চিক রাশির জাতকের উপরে সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে।
  9. বৃশ্চিক, ধনু এবং মকর রাশিতে শনির গোচর হলে ধনু রাশির সাড়ে সাতি হয়।
  10. শনি যখন গোচরে ধনু, মকর এবং কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করে তখন মকর রাশির জাতক-জাতিকার উপরে সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে।
  11. মকর, কুম্ভ ও মীন রাশির গোচরে কুম্ভ রাশিতে সাড়ে সাতির প্রভাব হয়।
  12. কুম্ভ, মীন এবং মেষ রাশির শনির গোচরে মীন রাশির উপরে সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে।

জন্ম রাশি অনুযায়ী জাতক-জাতিকার উপর সাড়ে সাতির বিশেষ অশুভ সময়:

সাড়ে সাতির অশুভ অবস্থা কিন্তু সব রাশিতে পূর্ণ সময় ধরা হয় না। প্রত্যেক রাশিরই একটা নির্দিষ্ট সময় আছে যখন তীব্র সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে। সেই অনুসারে নিচে একটি তালিকা দেওয়া হল-
  1. মেষ রাশির সর্বাপেক্ষা অশুভ সময় সাড়ে সাতির মধ্যভাগ।
  2. বৃষ রাশির শুরুতেই ঘাতক বিবেচিত হয়।
  3. মিথুন রাশির মধ্যভাগে সাড়ে সাতি প্রবল অশুভ প্রভাব বিস্তার করে।
  4. কর্কট রাশির জাতক-জাতিকার পক্ষে মধ্য এবং শেষভাগ ঘাতক।
  5. সিংহ রাশির পক্ষে ঘাতক বিবেচিত হয় শুরু এবং মধ্যভাগে।
  6. কন্যা রাশির ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা অশুভ বিবেচিত হয় সাড়ে সাতির শুরুতে।
  7. তুলা রাশির জাতক-জাতিকার শেষ ভাগ হলো ঘাতক সময়।
  8. বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকার মধ্য এবং শেষ ভাগ হল ঘাতক সময়।
  9. শুরু এবং মধ্যভাগ ঘাতক হয় ধনু রাশির ক্ষেত্রে।
  10. মকর রাশির ক্ষেত্রে মধ্যভাগ সর্বাপেক্ষা ঘাতক সময় হয়।
  11. কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকার উপরে সাড়ে সাতির কোন ঘাতক সময় নেই। এই রাশির জাতক-জাতিকার যদি শনি জন্ম ছকে শুভ অবস্থায় থাকেন, তাহলে এই রাশির জাতক-জাতিকার শুভ ফল লাভ হয়।
  12. মীন রাশির জাতকের শেষভাগ ঘাতক সময়।

কোন চরণে সনির সাড়ে সাতিতে কি ফল দেয়?


পূর্বেই শনির সাড়ে সাতির সময় কোন রাশির কোন ভাগে শনি ঘাতক হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার যে এই ভাগ কিভাবে বিবেচিত হয় এবং সেই ভাগে তার ফল দান কিরূপ হয়?উপরের তালিকা অনুসারে যে রাশির যে সময়টা ঘাতক বলে বিবেচিত হয়েছে সেই সময়টা জাতকের কেমন যাবে তারি আলোচনা নিম্নে করা হইল।
শনির সাড়েসাতি কে তিনটি ভাগে বিচার করা হয়।
  • প্রথম ভাগ - যে সমস্ত রাশির ক্ষেত্রে প্রথম ভাগকে ঘাতক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সেই সমস্ত জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে এই সময়টাতে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হয়। অর্থের আমদানি থাকে কম। হঠাৎ ধন হানির কারণে জাতক-জাতিকাকে প্রচুর অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। চোখের সমস্যা এবং স্বাস্থ্য সমস্যায় জাতকের হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনা। এমনকি এই সময়টাতে মানসিক চাপ অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • দ্বিতীয় ভাগ - যে সমস্ত রাশির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ভাগকে ঘাতক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সেই সমস্ত জাতক-জাতিকার ক্ষেত্রে এই সময়টাতে সম্পত্তির হানি, শত্রু ভয়, আর্থিক সমস্যা, আত্মীয়দের সাথে বিবাদ, ব্যবসায় বিফলতা, গৃহ থেকে দূরে থাকা, পারিবারিক সুখের অভাব এবং প্রচেষ্টা নিষ্ফল হওয়া ইত্যাদি ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
  • তৃতীয় ভাগ - যে সমস্ত রাশির ক্ষেত্রে তৃতীয় ভাগকে ঘাতক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে সেই সমস্ত জাতক-জাতিকার ক্ষেত্রে এই সময়টাতে  ব্যয়ের চাপ, অর্থের আমদানি এবং ব্যয় উভয়েই সমান, সুখের অভাব, অহেতুক ঝগড়া ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া ইত্যাদি সূচিত হয়।দুটি ভাগে যে সমস্ত রাশির জাতকের ক্ষেত্রে শুভ-অশুভ ফলের কথা আলোচনা করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই দুই ভাগে উপরোক্ত ফলাফল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।
সুতরাং এখান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে সাড়ে সাতি চলাকালীন পূর্ণ সময় ধরে অর্থাৎ সাড়ে সাত বছর কোন জাতক-জাতিকাকেই নিরাশায় ভুগতে হয় না। তবু আজকের মানুষের মনে একটা ভীতির সঞ্চার প্রতিনিয়ত হচ্ছে।

শনির সাড়ে সাতিতে সমস্ত রাশির জাতক-জাতিকার শুধুই কি ক্ষতি হয়?


বর্তমানে সাড়েসাতি নিয়ে বিরূপ প্রচার এর ফলে স্বাভাবিক কারণেই মানুষের মনে একটা ভয় ভীতির সঞ্চার হচ্ছে। সাড়ে সাতিতে শুধুই ক্ষতি হয় এটা  সত্য নয়। সাড়ে সাতির সময় শুভ অশুভ ফলাফল বিচার করতে গেলে অবশ্যই জাতক-জাতিকার জন্ম কুণ্ডলীতে শনির স্থিতি বিচার করা বিশেষ প্রয়োজন। কারণ জন্ম কুণ্ডলীতে শনির অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে যেমন অশুভ ফল দান করবে তেমন শুভ ফল দান করতে সক্ষম হয়।শনি শুধুই যে অশুভ তা নয় কোনো কোনো জাতককে তিনি রাজতুল্য ক্ষমতা দান করতে পারেন।
যেমন-কোন জাতকের জন্ম কুণ্ডলীতে শনি যদি ত্রিকোণ, তনুভাব, সহজভাব, ষষ্ঠ অথবা আয় ভাবের অধিপতি হয়ে মিত্র গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হয়ে জাতকের জন্ম কুণ্ডলীতে তৃতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ, নবম ও একাদশে অবস্থান করে তবে এই অবস্থানে শনি জাতককে ধনী, বিত্তশালী, ঐশ্বর্যশালী এবং প্রভাবশালী করতে পারেন। জাতক প্রচুর ধনসম্পদশালী হয়।

আবার এই শনিই যদি জাতকের জন্ম কুণ্ডলীতে ধনভাব,জায়াভাব,নিধনভাব অথবা ব্যয়ভাবের অধিপতি হয়ে অশুভ গ্রহ দ্বারা দৃষ্ট হয়ে বা যুক্ত হয়ে পড়ে তবে সাড়ে সাতির সময় জাতকের সত্যই কষ্টের সূচনা হয়, কষ্টের মধ্যে দিন কাটে। কাজেই এর থেকে বোঝা যায় যে সাড়েসাতি মানে শুধু অশুভ নয়।
What are the effects of Shani sade sati? Saturn Sade Sati Remedies

রাশি এবং ভাব অনুসারে সাড়েসাতির সহজ ও প্রভাবশালী প্রতিকার:


রাশি ও ভাব অনুসারে জাতক-জাতিকারা সাড়ে সাতির অশুভ প্রভাব কিভাবে প্রশমিত করতে পারবে তার কিছু সহজ পদ্ধতি নিচে দেওয়া হল। প্রথমে তিনটি ভাবে সাড়ে সাতির অবস্থান কালে কোন ভাবে কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে সাড়ে সাতির প্রভাবকে প্রশমিত করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছে।

মেষ রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে:

প্রথম ভাবে - সাড়ে সাতির প্রথম আড়াই বছর নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে সাড়ে সাতির প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।

  • নতুন মাটির পাত্রে সরিষার তেল নিয়ে শনিবার শনিবার প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • শনিবার মাংস মাছ খাওয়া উচিত নয়। এতে সুফল লাভ হয়।
  • এই সাড়ে সাতি চলাকালীন মাদকদ্রব্য গ্রহণ না করিলে শুভ ফল প্রাপ্তি হয়।
  • প্রত্যেক শনিবার শুকনো নারকেল শনি মন্দিরে বা কালীমন্দিরে দান করতে পারলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
দ্বিতীয়় ভাবে - দ্বিতীয়বার আড়াই বছর সাড়ে চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে সাড়ে সাতির প্রভাব প্রশমিত হয়।

  • কোন খুশির খবর আসলে নোনতা জাতীয় খাবার মানুষের মধ্যে বিতরণ করলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • নিয়মিত গনেশ দেবতার পূজা, আরাধনা করলে এই সময়ের প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • কোন বিশেষ শুভ তিথিতে কুমারী কন্যার পূজা করলে এই প্রভাবকে প্রশমিত করা সম্ভব হয়।
  • প্রত্যেক শনিবার বাঁদরকে কলা বা অন্য কোন খাবার দিলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
তৃতীয় ভাবে - তৃতীয়় ভাবে সাড়ে সাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে সাড়ে সাতির প্রভাবকে  প্রশমিত করা যায়।

  • মঙ্গলবার সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র ধারণ করে হনুমান চালিশা পাঠ করতে পারলে প্রভাবকে প্রশমিত করা সম্ভব হতে পারে।
  • ঘোড়ার নালের আংটি তৈরি করে ডান হাতের অনামিকায় ধারন করলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • বিউলির ডাল প্রতি শনিবার কিছুটা পরিমাণে নিয়ে প্রবাহিত জলে বা পুকুরে ফেলে দিতে হবে অথবা এমন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে যাতে পাখিতে খেয়ে যেতে পারে। এরূপ করিলে প্রভাব প্রশমিত হয়।

বৃৃৃষ রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে:


প্রথম ভাবে - সাড়ে সাতির প্রথম আড়াই বছর নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।

  • শনিবার দিন মাছ, মাংস না খাওয়াই শ্রেয়, এতে সুফল লাভ হয়।
  • প্রতি সোমবার শিব লিঙ্গের মাথায় কাঁচা দুধ ঢেলে পূজা দিতে হবে।
  • ঘোড়ার নালের আংটি তৈরি করিয়া ডান হাতের অনামিকায় ধারন করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • এইসময় মাদকদ্রব্য গ্রহণ না করলে শুভ ফল প্রাপ্তি হয়।
  • প্রতি শনিবার শুকনো নারকেল শনি মন্দিরে বা কালীমন্দিরে দান করতে পারলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
দ্বিতীয়় ভাবে - দ্বিতীয়় ভাবে সাড়ে সাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে সাড়ে সাতি প্রভাবকে  প্রশমিত করা যেতে পারে।

  • প্রতি শনিবার বটবৃক্ষে দুধ ঢাললে শুভ ফল লাভ হয়।
  • প্রতি শনিবার বাঁদরকে বলা বা অন্য খাবার দিলে প্রভাব প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • বট গাছের গোড়ার মাটি দুধে ভিজিয়ে কপালে তার তিলক পরলে এই প্রভাবকে প্রশমিত করা সম্ভবপর হয়।
  • আটা দিয়ে মিষ্টি রুটি তৈরি করে কাল কুকুরকে খাওয়ালে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
তৃতীয় ভাবে -তৃতীয় ভাবে সাড়ে সাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে সাড়ে সাতির প্রভাব প্রশমিত হয়।

  • ঘোড়ার নালের আংটি অনামিকায় ধারন করলে অশুভ প্রভাব দূরীভূত হয়।
  • প্রত্যহ হনুমান চালিশা পাঠে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • প্রত্যেক মঙ্গলবার মেটে সিঁদুর হনুমান মন্দিরে দান করিলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে হনুমান চালিশা দান করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।

মিথুন রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে :

প্রথম ভাবে - সাড়ে সাতির প্রথম আড়াই বছর নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে সাড়ে সাতির অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • শুকনো নারকেল জলে প্রবাহিত করলে শুভ ফল প্রাপ্তি হয়।
  • শুভ মুহূর্তে শনিবার দিন শনিদেবের পূজা করিয়া শনিযন্ত্রম ধারণ করলে অশুভ প্রভাব নাশ হয়।
দ্বিতীয় ভাবে - মিথুন রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে সাড়ে সাতির দ্বিতীয় আড়াই বৎসর সময়ে নিম্নলিখিত পদ্ধতি গুলি অবলম্বন করিলে অশুভ প্রভাব  প্রশমিত হয়।
  • শুভ মুহূর্তে শনিবার দিন শনিবার শনিযন্ত্রম ধারণ করতে হবে।
  • প্রত্যেক শনিবার শিবলিঙ্গে দুধ ঢাললে শুভ হবে।
  • বট গাছের গোড়ার মাটি দুধে ভিজিয়ে কপালে তার তিলক করলে এই প্রভাব প্রশমিত করা সম্ভবপর হয়।
তৃতীয় ভাবে - যখন মিথুন রাশির জাতক-জাতিকার উপর সাড়ে সাতির শেষ আড়াই বছরের প্রভাব চলে তখন নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • প্রত্যহ হনুমান চালিশা পাঠ করতে হবে।
  • শনিবার দিন মাদকদ্রব্য গ্রহণ সম্পূর্ণ বর্জনীয়।
  • নৌকার পেরেক দিয়ে আংটি বানিয়ে তা ধারণ করতে হবে।

কর্কট রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে :

প্রথম ভাবে - সাড়ে সাতির প্রথম আড়াই বছর নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • প্রতি সোমবার শিব লিঙ্গের মাথায় কাঁচা হলুদ ঢাললে শুভ ফল লাভ হবে।
  • শনিবার শনিবার দুপুরে শিশুদের মিষ্টি হালুয়া খাওয়াতে হবে।
  • শনিবার চারটি শুকনো নারকেল প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিলে অথবা শনি বা কালীমন্দিরে তা দান করতে পারলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • নৌকার পেরেক দিয়ে আংটি বানিয়ে মাঝের আঙুলে ধারণ করিলে অশুভ প্রভাব দূরীভূত হয়।
দ্বিতীয় ভাবে - কর্কট রাশির জাতক-জাতিকাদের দ্বিতীয় আড়াই বছরের সাড়ে সাতি ভোগকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করিয়া অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা সম্ভব।
  • হনুমান মন্দিরে মেটে সিঁদুর দান করা।
  • শনিবার মাংস খাওয়া বর্জনীয়।
  • আটা দিয়ে মিষ্টি রুটি তৈরি করিয়া তিনটে কুকুরকে খাওয়ালে মঙ্গল হয়।
  • শনিবার দিন এক শিশি সুরমা কোন নির্জন স্থানে পুঁতে  দেওয়া অথবা জলে ভাসিয়ে দেওয়া।
তৃতীয় ভাবে - তৃতীয় ভাবে অর্থাৎ শেষ আড়াই বছর সাড়ে সাতির প্রভাব নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বনে প্রশমিত করা সম্ভব।

  • প্রত্যেকদিন হনুমান চালিশা পাঠ করা এবং শনি যন্ত্রম ধারণ করা।
  • শনিবার 1 সিসি দেশী মদ প্রবাহিত জলে ঢেলে দেওয়া।
  • নৌকার পেরেক দিয়ে আংটি বানিয়ে অনামিকায় ধারণ করা।

সিংহ রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে :

প্রথম ভাবে - সাড়ে সাতির প্রথম আড়াই বছর নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা সম্ভব হতে পারে।
  • নতুন মাটির পাত্রে সরিষার তেল নিয়ে প্রতি শনিবার প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • শনিবার মাছ বা মাংস না খাওয়াই শ্রেয়। ইহাতে সুফল লাভ হয়।
  • এই সময় মাদকদ্রব্য গ্রহণ না করলে শুভ ফল প্রাপ্তি হয়।
  • প্রতি শনিবার মেওয়া বা শুকনো নারকেল শনি মন্দিরে মা কালী মন্দিরে দান করতে পারলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
দ্বিতীয় ভাবে - প্রথম আড়াই বছরের  পরবর্তী অর্থাৎ দ্বিতীয় আড়াই বছর সাড়েসাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাব নাশ হয়।
  • শনিবার শনিবার গনেশ দেবতার আরাধনা করা এবং দরিদ্রকে দান করা।
  • কোন সামাজিক কারণে মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য দান করা উচিত নয়।
  • শনিবার আটটি আটার গুলি বানিয়ে জলে দিলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • নিয়মিত গনেশ দেবতার পূজা আরাধনা করলে এই সময়ের প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
তৃতীয় ভাবে - সাড়ে সাতির শেষ আড়াই বছর চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • শনিবার বা মঙ্গলবার সকালে স্নান করে সুবস্ত্র ধারণ করে হনুমান চালিশা পাঠ করিয়া মন্দিরের সিঁদুর দান করা।
  • কালো বিউলির ডাল প্রতি শনিবার কিছুটা পরিমাণে নিয়ে প্রবাহিত জলে বা পুকুরে ফেলে দিতে হবে অথবা এমন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে যাতে পাখিতে খেয়ে যেতে পারে।
  • কালো মহিষের পায়ের নালের আংটি তৈরি করে ধারন করলে প্রভাব প্রশমিত হয়।

কন্যা রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে :

প্রথম ভাবে - সাড়ে সাতির প্রথম আড়াই বছর নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • শনিবার ভগবতী দুর্গার উপাসনা করা।
  • প্রতি শনিবার কাককে গরম রুটি বানিয়ে খাওয়ানো।
  • প্রত্যেক শনিবার কালী মন্দিরে পূজা ও দান করতে পারলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • ঘোড়ার নালের আংটি তৈরি করে ডান হাতের অনামিকায় ধারণ করলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
দ্বিতীয় ভাবে - কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা যখন দ্বিতীয়বার অর্থাৎ পরের আড়াই বছর সাড়ে সাতির প্রভাব ভোগ করেন তখন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে তাকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করা।
  • প্রতি শনিবার বটবৃক্ষে দুধ ঢাললে শুভ হবে।
  • অন্ধ ব্যক্তিকে দান করা।
  • শনিবার শুভ মুহূর্তে শনি যন্ত্রম ধারণ করা।
তৃতীয়় ভাবে - শেষ আড়াই বছরের সময় নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • শনিবার মাদকদ্রব্য গ্রহণ না করা।
  • মহিষের পায়ের নালের আংটি ধারন করা।
  • শনিবার এক সিসি দেশী মদ জলে ঢেলে দেওয়া।
  • মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে হনুমান চালিশা দান করা।

তুলা রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে : 

প্রথম ভাবে - প্রথম আড়াই বছর সাড়েসাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • কালো ঘোড়ার নালের আংটি ধারন করা।
  • কাককে নিয়মিত রুটি খাওয়ানো।
  • শুকনো নারকেল জলে প্রবাহিত করলে অশুভ প্রভাব দূরীভূত হয়।
  • নিয়মিত হনুমান চালিশা পাঠ করা।
দ্বিতীয়় ভাবে - তুলা রাশির জাতক-জাতিকার দ্বিতীয় আড়াই বছর সাড়েসাতি ভোগকালীন সময়ে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে তাকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • শনি যন্ত্রম ধারণ করা।
  • কালো কুকুর বাড়িতে পোষা।
  • বট গাছের গোড়ার মাটি ভিজিয়ে কপালে তিলক পরলে এই অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা সম্ভবপর হয়।
তৃতীয়় ভাবে - সাড়ে সাতির শেষ আড়াই বৎসর সময় নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে অশুভ প্রভাবভকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • প্রত্যেক শনিবার শিবলিঙ্গে কাঁচা দুধ ঢালা।
  • প্রত্যহ হনুমান চালিশা পাঠ করা।
  • বিউলির ডাল প্রবাহিত জলে শনিবার দিন বিসর্জন দেওয়া।

বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে :

প্রথম ভাবে - প্রথম আড়াই বছর সাড়েসাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • প্রত্যেক শনিবার মেওয়া বা শুকনো নারকেল শনি মন্দিরে বা কালী মন্দিরে দান করতে পারলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • শনিবার মাছ বা মাংস না খেলে সুফল লাভ হয়।
  • এই সাড়েসাতি চলাকালীন মাদকদ্রব্য গ্রহণ না করলে শুভ ফল প্রাপ্ত হয়।
  • নতুন মাটির পাত্রে সরিষার তেল শনিবার প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
দ্বিতীয় ভাবে - দ্বিতীয় আড়াই বছর সাড়েসাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বনে অশুভ প্রভাব প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • নিয়মিতভাবে গনেশ দেবতার পূজা আরাধনা করলে এই সাড়েসাতির অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • প্রত্যেক মঙ্গলবার গনেশ দেবতার আরাধনা ও স্তোত্র পাঠ করা।
  • মঙ্গলবার আটটি আটার গুলি বানিয়ে জলে দিলে প্রভাব কমে।
তৃতীয় ভাবে - শেষ আড়াই বছর সাড়ে সাতির প্রভাবকে নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রশমিত করা সম্ভব
  • শনিবার বা মঙ্গলবার সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র ধারণ করে হনুমান চালিশা পাঠ করে মন্দিরে মেটে সিঁদুর দান করা।
  • কালো মহিষের পায়ের নালের আংটি তৈরি করে ধারন করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • কাল বিউলির ডাল প্রতি শনিবার কিছুটা পরিমাণে নিয়ে তাকে প্রবাহিত জলে বা পুকুরে ফেলে দিতে হবে অথবা এমন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে যাতে পাখিতে এসে খেয়ে যেতে পারে।

ধনু রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে :

প্রথম ভাবে - সাড়ে সাতির প্রথম আড়াই বছর এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাব  প্রশমিত হয়।
  • প্রত্যেক সোমবার শিব লিঙ্গের মাথায় কাঁচা দুধ ঢালা।
  • প্রত্যেক শনিবার ব্রত করে হনুমানজীর পূজা করা।
  • কুমারী কন্যার পূজা করা।
  • প্রত্যেক শনিবার কালী মন্দিরে কালো আঙুর দান করতে পারলে প্রভাব প্রশমিত হয়।
দ্বিতীয় ভাবে - দ্বিতীয় আড়াই বছর সাড়ে সাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করে  তাকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • আটা দিয়ে গুলি তৈরি করে মাছকে খাওয়ালে শুভ হয়।
  • প্রত্যেক শনিবার বটবৃক্ষে দুধ ঢাললে শুভ হবে।
  • বট গাছের গোড়ার মাটি তুলে দুধে ভিজিয়ে কপালে তার তিলক করলে এই প্রভাবকে প্রশমিত করা সম্ভব হয়।
  • নারকেল মালায় কালো তিল এবং গুড় ভরে জলে ভাসিয়ে দেওয়া।
তৃতীয় ভাবে - শেষ আড়াই বছর সাড়ে সাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • প্রত্যহ নিয়মিতভাবে হনুমান চালিশা পাঠ করা।
  • ঘোড়ার নালের আংটি বানিয়ে অনামিকায় ধারণ করা।
  • মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে হনুমান চালিশা দান করা।
  • প্রত্যেক মঙ্গলবার মেটে সিঁদুর হনুমান মন্দিরে দান করা।

মকর রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে : 

প্রথম ভাবে - সাড়ে সাতির প্রথম আড়াই বৎসর নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • প্রতি সোমবার শিব লিঙ্গের মাথায় কাঁচা দুধ ঢালা।
  • প্রত্যেক শনিবার দুপুরে শিশুদের মিষ্টি, হালুয়া খাওয়ানো।
  • শনিবার চারটি শুকনো নারকেল প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিলে অথবা কালীমন্দিরের দান করতে পারলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
দ্বিতীয় ভাবে - দ্বিতীয় আড়াই বছরের সময় নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • হনুমান মন্দিরে মেটে সিঁদুর দান করা।
  • কালো কুকুর পোষা।
  • আটা দিয়ে মিষ্টি রুটি তৈরি করে তিনটে কুকুরকে খাওয়ানো।
  • শনিবার এক সিসি সুরমা কোন নির্জন স্থানে পৌঁছে দেওয়া বা ভাসিয়ে দেওয়া।
তৃতীয় ভাবে - শেষ আড়াই বছর সাড়েে সাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • প্রত্যহ হনুমান চালিশা পাঠ করা ও শনি যন্ত্রম ধারণ করা।
  • শনিবার এক সিসি দেশী মদ প্রবাহিত জলে ঢেলে দেওয়া। 
  • নৌকার পেরেক দিয়ে আংটি বানিয়ে অনামিকায় ধারণ করা।

কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকার ক্ষেত্রে : 

প্রথম ভাবে - প্রথম আড়াই বছর সাড়ে সাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • শনিবার মাছ মাংস না খাওয়া।
  • হনুমানজির মন্দিরে মেটে সিঁদুর দান করা।
  • শনিবার দিন এক সিসি সুরমা কোন নির্জন স্থানে পুঁতে  দেওয়া।
  • আটা দিয়ে রুটি তৈরি করে তিনটে কুকুরকে খাওয়ালে শুভ ফল লাভ হয়।
দ্বিতীয় ভাবে - দ্বিতীয় আড়াই বছর সাড়েসাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাবকে প্রশমিত করা যেতে পারে।
  • প্রতি শনিবার হনুমানজির  পূজা করা।
  • কুমারী কন্যার পূজা করা।
  • প্রত্যেক শনিবার কালীমন্দিরে কাল আঙ্গুর দান করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • প্রত্যেক সোমবার শিব লিঙ্গের মাথায় কাঁচা দুধ ঢালা।
তৃতীয় ভাবে - শেষ আড়াই বছর সাড়েসাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • প্রত্যহ হনুমান চালিশা পাঠ করা ও শুভ মুহূর্তে শনি যন্ত্রম ধারণ করা।
  • শনিবার দিন এক সিসি দেশী মদ প্রবাহিত জলে ঢেলে দেওয়া।
  • প্রত্যেক শনিবার ব্রত করে হনুমানজীর পূজা করা।
  • নৌকার পেরেক দিয়ে আংটি বানিয়ে ধারণ করা।

মীন রাশির জাতক-জাতিকার ক্ষেত্রে : 

প্রথম ভাবে - প্রথম আড়াই বছর সাড়েসাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাব দূরীভূত হয়।
  • প্রত্যেক মঙ্গলবার নারকেল দান করা।
  • শনিবার শনিবার কাঁচা বাদাম দান করা।
  • প্রত্যেক শনিবার মেওয়া বা শুকনো নারকেল শনি মন্দিরে বা কালীমন্দিরে দান করা।
দ্বিতীয় ভাবে - দ্বিতীয় আড়াই বছর সাড়ে সাতি চলাকালীনলীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • নিয়মিত গনেশ দেবতার পূজা আরাধনা করলে এই প্রভাবকে প্রশমিত করা সম্ভবপর হয়।
  • খালি পায়ে মন্দিরে পূজা দিতে গেলে শুভ ফল লাভ হয়।
  • কোন বিশেষ শুভ তিথিতে কুমারী কন্যার পূজা করলে অশুভ প্রভাব নাশ হয়।
  • প্রত্যেক শনিবার কমপক্ষে তিনটে কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ানো।
তৃতীয় ভাবে - শেষ আড়াই বছর সাড়েসাতি চলাকালীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করলে অশুভ প্রভাব নাশ হয়।
  • মঙ্গলবার সকালে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র ধারণ করে হনুমান চালিশা পাঠ করতে পারলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • ঘোড়ার নালের আংটি তৈরি করিয়ে ডান হাতের অনামিকায় ধারণ করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়।
  • প্রত্যেক শনিবার কিছুটা পরিমান বিউলির ডাল প্রবাহিত জলে বা পুকুরে ফেলে দিতে হবে অথবা এমন জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে যাতে পাখিরা এসে খেয়ে যেতে পারে।
উপরোক্ত সহজ পদ্ধতিগুলি ছাড়াও ক্ষেত্রবিশেষে রত্ন ধারণ করতে হইতে  পারে। শনি শুভ হলে নীলা ধারণ করলে শুভ ফল লাভ হয়। যদি শনি অশুভ হয় তাহলেে বিপরীত রত্ন মানিক্য, মুক্তা, মুনস্টোন, রক্ত প্রবাল, পোখরাজ ইত্যাদি ধারণ করলে অশুভ প্রভাব প্রশমিত হয়। কিন্তুুু কোন উপায়় বা রত্ন ধারণ কোন অভিজ্ঞ জ্ঞানী জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী করা উচিত অন্যথায় অশুভ প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।