According to astrology, when will accidental death occur?জ্যোতিষ মতে অপঘাতে মৃত্যু হলে কোন সময় তা হবে?
জন্মালে মরতেই হয়; একথা ধ্রুব সত্য। কিন্তু অপঘাতে মৃত্যু কি কেউ চান? কিন্তু অপঘাতে মৃত্যু তো ঘটেই। এই মৃত্যু আমরা নিয়তি বলে মেনে নিই।
প্রায়ই সংবাদপত্রে, টিভিতে আমরা বিভিন্ন দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারি। দুই বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন কয়েকজন, ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন শতাধিক মানুষ, পথ দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু, বাসে আগুন ইত্যাদি দুর্ঘটনা প্রায়শই ঘটে চলেছে।
এই দুর্ঘটনা চলে আসছে বহু যুগ ধরেই। জ্যোতিষশাস্ত্র পারে এর সদুত্তর দিতে। জন্মকালীন গ্রহ-নক্ষত্রের যোগে অপঘাতে মৃত্যু ঘটতে পারে তার আভাসই এই অধ্যায়ের মূল বিষয়বস্তু।
যে ধরনের গ্রহ যোগে দুর্ঘটনা হতে পারে তার আলোচনা শুরু করা যাক। প্রসঙ্গত অপঘাতে যখন মৃত্যু ঘটে সেটা আসে হঠাৎই, কাউকে জানিয়ে আসে না। আমাদের জীবনের সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী, তা সে ভালই হোক বা মন্দ হোক।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে অগ্নি রাশি হল মেষ, সিংহ ও ধনু আর বায়ু রাশি হল মিথুন, তুলা ও কুম্ভ।
লগ্নপতি এবং অষ্টমপতি বায়ুকারক হইয়া যদি অগ্নি রাশিতে অবস্থান করে মঙ্গল ও রাহুর সহিত অশুভ সম্পর্ক জন্মকালীন স্থাপন করে থাকেন তাহলে অগ্নিসংক্রানত দুর্ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যু ঘটতে পারে।
ওই সময়ে দশা-অন্তর্দশা অবশ্যই অগ্নি ও বায়ুর হতে হবে এবং দুর্বলতা থাকতেই হবে এবং বৃহস্পতির কৃপাদৃষ্টি থাকবে না।
শুধুমাত্র বৃহস্পতি এই অশুভযোগকে রোধ করতে পারেন। লগ্নে যদি মঙ্গল বা রাহু থাকেন এবং লগ্নপতি দুর্বল হয়ে অগ্নি রাশিতে এবং অষ্টমপতি দুর্বল হয়ে বায়ু রাশিতে থাকেন তাহলে হঠাৎ আকস্মিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হতে পারে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে অগ্নি রাশি হল মেষ, সিংহ ও ধনু আর বায়ু রাশি হল মিথুন, তুলা ও কুম্ভ।
লগ্নপতি এবং অষ্টমপতি বায়ুকারক হইয়া যদি অগ্নি রাশিতে অবস্থান করে মঙ্গল ও রাহুর সহিত অশুভ সম্পর্ক জন্মকালীন স্থাপন করে থাকেন তাহলে অগ্নিসংক্রানত দুর্ঘটনায় আকস্মিক মৃত্যু ঘটতে পারে।
ওই সময়ে দশা-অন্তর্দশা অবশ্যই অগ্নি ও বায়ুর হতে হবে এবং দুর্বলতা থাকতেই হবে এবং বৃহস্পতির কৃপাদৃষ্টি থাকবে না।
শুধুমাত্র বৃহস্পতি এই অশুভযোগকে রোধ করতে পারেন। লগ্নে যদি মঙ্গল বা রাহু থাকেন এবং লগ্নপতি দুর্বল হয়ে অগ্নি রাশিতে এবং অষ্টমপতি দুর্বল হয়ে বায়ু রাশিতে থাকেন তাহলে হঠাৎ আকস্মিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হতে পারে।
লগ্নভাব দুর্বল, লগ্নপতি দুর্বল বৃহস্পতির শুভদৃষ্টি নেই এবং অষ্টম ভাব ও অষ্টমপতি দুর্বল এবং দ্বিতীয় ও সপ্তমে পাপগ্রহ থাকলে জীবনের বহু আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়না, অকাল মৃত্যু এসে তাকে গ্রাস করে।
অগ্নিরাশিতে অতিরিক্ত পাপ গ্রহের প্রভাবে অগ্নি সংক্রান্ত দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
বৃশ্চিক ও মকর লগ্ন বা রাশির পক্ষে রাহু মহামারক গ্রহ। রাহু যদি লগ্ন, দ্বিতীয় বা সপ্তম এ অবস্থান করে এদের অধিপতির সাথে অশুভ সম্পর্ক স্থাপন করেন তাহলে আকস্মিক অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে।
উচ্চ স্থান থেকে পতন বা রাস্তাঘাটে অন্যমনস্কভাবে চলাফেরার জন্য দায়ী গ্রহ হল বুধ। বধু যদি জন্মকালীন লগ্নের দ্বিতীয়, তৃতীয় বা সপ্তমে দুর্বল থেকে অশুভ মঙ্গল বা রাহুর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন তাহলে আকস্মিক পথ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে (অবশ্যই অসাবধানতার জন্য)।
মারক গ্রহের দশা-অন্তর্দশায় অপমৃত্যু ঘটতে পারে।অবশ্য মারক গ্রহ বিচার করা বেশ দুঃসাধ্য ব্যাপার এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। সাধারণ নিয়মে প্রতিটি লগ্নের মারক গ্রহ আছে। যেমন-
- মেষ লগ্নের পক্ষে বুধ,যেহেতু তিনি লগ্নপতি মঙ্গলের শত্রু এবং লগ্নের তৃতীয় ও ষষ্ঠ পতি।
- বৃষ লগ্নের পক্ষে চন্দ্র ও বৃহস্পতি। চন্দ্র ও বৃহস্পতি উভয়েই লগ্নপতি শুক্রের শত্রু এবং চন্দ্র লগ্নের তৃতীয়পতি এবং বৃহস্পতি অষ্টম ও একাদশপতি।
- মিথুন লগ্নের পক্ষে ষষ্ঠপতি ও একাদশপতি মঙ্গল লগ্নপতি বুধের শত্রু এবং বিশেষ অশুভ গ্রহ। অনেকের মতে রবি ও অষ্টমপতি শনিকেও অশুভ গ্রহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।কিন্তু আমার মতে শনি হল এই লগ্নের নবমপতি যা লগ্নপতি বুধ গ্রহের মিত্র এবং রবিও মিত্র। যদি শনি জন্মকালীন শুভ অবস্থায় থাকেন তাহলে কোন মতেই শনি মিথুন লগ্ন ক্ষেত্রে অশুভ গ্রহ হিসাবে গণ্য হবেন না।
- কর্কট লগ্নের পক্ষে বুধ ও শনি কে মারক গ্রহ বলা হয়েছে। উভয়েরই চন্দ্রের সাথে শত্রুতার সম্পর্ক। শনির শত্রু চন্দ্র হলেও চন্দ্রের কোন শত্রু নেই। তবে শনি ও বুধ যদি জন্মকালীন বলবান ও শুভ হয়ে লগ্নপতির সাথে সুসম্পর্ক করেন তাহলে এরাও মারক হবেন না। তবে নানাভাবে বাধা দিতে পারেন।
- সিংহ লগ্নের ক্ষেত্রে শুক্র ও চন্দ্র বিশেষ অশুভ গ্রহ, কারন এরা উভয়েই লগ্নপতির শত্রু।তবে জন্মকালীন লগ্নপতির সাথে শুভ সম্পর্ক হয়ে থাকলে এবং মারক লক্ষণ না থাকলে এরা মারক হবেন না।
- কন্যা লগ্নের পক্ষে মঙ্গল, শনি ও অনেক সময় বৃহস্পতি বিশেষ অশুভ। মঙ্গল লগ্নপতি বুধের পরম শত্রু। শনি ষষ্ঠপতি।
- তুলা লগ্নের ক্ষেত্রে তৃতীয় ও ষষ্ঠপতি বৃহস্পতি বিশেষ অশুভ এবং মঙ্গল দ্বিতীয় ও সপ্তমপতি মহামারক। এরা মারক লক্ষণাত্মক হয়ে দ্বিতীয় ও সপ্তমে অবস্থান করলে মারক হতে পারেন।
- বৃশ্চিক লগ্নের ক্ষেত্রে শনি ও বুধ মারকের কাতরতা পেলে মহামারক হতে পারেন। এরা দুজনেই লগ্নপতি মঙ্গলের পরম শত্রু।
- ধনু লগ্নের ক্ষেত্রে জন্মকালীন গ্রহাবস্থান দেখে মারক বিচার করতে হয়। অনেকে চন্দ্র ও শনিকে এই লগ্নের মারক হিসাবে গণ্য করেন।
- মকর লগ্নের ক্ষেত্রে মঙ্গল প্রধান মারক গ্রহ। মঙ্গল লগ্নপতি শনির চিরশত্রু। বৃহস্পতি ও বুধ মারক লক্ষণ পেলে মারক হিসাবে গণ্য হবেন।
- কুম্ভ লগ্নের ক্ষেত্রে মঙ্গল মারক গ্রহ। মঙ্গল লগ্নপতি বুধের শত্রু।
- মীন লগ্নের ক্ষেত্রে শুক্রকে মারক বলা হয়। লগ্নপতি বৃহস্পতির সাথে শত্রুতার সম্পর্ক। অনেকে ষষ্ঠপতি হিসাবে রবিকেও মারক বলে থাকেন।
ধ্বংসের কারক মঙ্গল তার সাথে মৃত্যুকারক শনি সঙ্গে ছায়াগ্রহ রাহুর প্রভাবে আকস্মিক তাণ্ডবলীলা যেমন ঘটতে পারে, তেমনি ঘটাতে পারে সুন্দর এক জীবনকে ধ্বংস করতে।
তবে জন্মকালীন শনি, মঙ্গল ও রাহু যদি শুভ হন এবং বলবান বৃহস্পতি ও বলবান শুক্রের সাথে থেকে বা সুসম্পর্ক করে থাকেন তাহলে অপঘাতেে মৃত্যু হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন