প্রেমে আনন্দ কোন সময়ে ?/প্রেমে ধোকা কোন সময়ে ?
প্রেমে আনন্দ কোন সময়ে ?
প্রেমে আনন্দ অনেকেই পেতে চায়,কিন্তু প্রকৃত প্রেম পাওয়া ভগবানের আশীর্বাদ। যারা প্রকৃত প্রেম পান তারা সত্যিই ভাগ্যবান। এখন দেখা যাক জ্যোতিষ মতে প্রেমে আনন্দ কোন সময় পাওয়া যেতে পারে ?
প্রেমে আনন্দ তখনই পাওয়া যাবে যখন গোচরে লগ্নপতি, চন্দ্র এবং লগ্নপতি, চন্দ্র যে ঘরে রয়েছেন তার অধিপতিরা যখন সুসম্পর্ক করে লগ্ন ও পঞ্চম স্থানের উপর দিয়ে গেলে ওই মুহূর্তে প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রকৃত আনন্দ পেতে পারেন। উপরোক্ত গ্রহরা পঞ্চমপতির নক্ষত্র পেলে আরো শুভফল পাওয়া সম্ভব। অনেক সময় এক সপ্তাহের মধ্যে কিছুদিন আনন্দ কিছুদিন দুঃখ ঘটতে পারে। সেটা চন্দ্রের পরিভ্রমণ ও চন্দ্রের নক্ষত্রের কারনে হয়। যখনই চন্দ্র শুভ নক্ষত্রে এবং শুভ শুক্র ও মঙ্গলের সহিত সম্পর্ক করবেন, তখনই প্রেমের জোয়ারে মন আসবে ও অনাবিল আনন্দ উপভোগ হবে।
প্রেমে ধোকা কোন সময়ে ?
প্রেমে ধোকা কেউই খেতে চান না।অনেকেই আছেন যারা নিজেদের জীবনের বহু ক্ষেত্রেই ভাগ্যবান, কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে ভাগ্য ভালো নয়। প্রেমকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে হলে উভয় উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা সব নয়, সঙ্গে চাই গ্রহ-নক্ষত্রের আশীর্বাদ।অনেক সময় দীর্ঘ দিনের প্রেম সম্বন্ধ গ্রহ-নক্ষত্রের অশুভ প্রভাবে শেষ হয়ে যায়। জ্যোতিষ আলোকে এর কারণ এখন আলোচনা করা যাক।
লগ্ন, লগ্নপতি, পঞ্চমস্থান ও পঞ্চমপতি যখন কাছাকাছি থাকেন বা নিজেদের মধ্যে কোন ভাবে সম্পর্ক তৈরি করে তখন প্রেম হয়।যখন লগ্ন, পঞ্চম এর সাথে সপ্তম স্থান সম্পর্ক তৈরি করে তখন প্রেম, বিবাহে পরিণতি লাভ করে। প্রেমের গোপনীয়তা অষ্টম ও দ্বাদশ স্থানকে বিচার করে পাওয়া যায়। প্রেমে ধোকা খাবার প্রধান যোগ হচ্ছে পঞ্চমপতির উপর দুর্বল অষ্টম পতির দৃষ্টি ও মহাদশা-অন্তর্দশা।পঞ্চম, অষ্টম, দ্বাদশ স্থান ও অধিপতিদের মহাদশা অন্তর্দশায় যখনই গোচরে পঞ্চম স্থান ও পঞ্চমপতির উপর অষ্টম ও দ্বাদশ পতির প্রভাব বেশি হবে তখনই প্রেমে ধোকা হবে ও মনে আসবে প্রচন্ড আঘাত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন